

গল্পঃ মিলু আমান
অধ্যায় ১ -জীবনবৃক্ষ
গল্পঃ মিলু আমান অধ্যায় ১ -জীবনবৃক্ষ কেউ কখনও ভাবতেও পারেনি পৃথিবীর একদিন এমন পরিণতি হবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যদিও আজ পৃথিবী অনেক এগিয়ে, কিন্তু তা স্বত্বেও মানবজাতি দুটো দলে বিভক্ত। সাধারণ জনগণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দর জীবন-যাপন করতে চায়। আর অন্যদিকে এক অশুভ চক্র নিজেদের হীন স্বার্থে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে। সাধারণ মানুষ আজ নিপীড়িত। অহংকারী শোষক শ্রেণী ক্রমশঃ মনুষ্যত্ব হারিয়ে অর্থ-সম্পদ-ক্ষমতার নেশায় ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। জনগণের উপর শোষণের সাথেসাথে তারা স্বাভাবিক প্রকৃতিকে কলুষিত করতেও পিছ পা হয়না। ক্ষমতার নেশায় তারা এতটাই উন্মত্ত এখন যে প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। ফসল-খনিজ সব তাদের দখলে, সমুদ্র-নদী সব তাদের নিয়ন্ত্রণে। খাবার, বিশুদ্ধ পানি মেলে না সাধারণের ভাগ্যে। সমস্ত প্রাণীকূল আজ বিলীন। দুই মেরু যেন বরফগলা নদী। বাতাস বিষাক্ত, বুক ভরে কেউ নিতে পারেনা নিঃশ্বাস, অক্সিজেন মুখোশ ছাড়া বাইরে বেরুনো দায়। গাছপালা বন উজাড় করে জুয়াড়ীদের মত তারা নিজেদের জন্য গড়ে তোলে একের পর এক প্রাসাদ, সাধারণের নেই কোন অধিকার। সমগ্র বিশ্বের সাধারণ মানুষ একাত্মতা ঘোষণা করে সর্বশক্তি দিয়ে শেষবারের মত রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের দমাতে লেলিয়ে দেয়া হয় অতি-উচ্চক্ষমতাশালী রোবট। শুরু হয় এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞের অধ্যায়। এবার জেগে ওঠে সব কম্পিউটার হ্যাকাররা। বেশ দক্ষতার সাথে স্বয়ংক্রিয় প্রায় সব রোবট বিকল করে দিতে সক্ষম হয় তারা। কিন্তু সেই বিজয় ছিল ক্ষণস্থায়ী। বিকট শব্দে রাজপথে একে একে নেমে আসে সব যুদ্ধের বহর। আকাশে ফাইটার আর বম্বিং প্লেন, রাস্তায় ট্যাংক আর কামান। শুরু হয় গোলাবারুদের যুদ্ধ, যার জন্য সাধারণ মানুষ একদমই প্রস্তুত ছিল না। গুলি বোমা ফুটছে যত্রতত্র। নিরীহ মানুষ মরছে প্রতিদিন লাখে লাখে। না, শেষ রক্ষা বুঝি আর হল না। পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ এখন সম্পূর্ণরূপে শোষকশ্রেণীর হাতে। তারা ঈশ্বরকে ভয় তো পায়ই না, বরং নিজেদেরকে ঈশ্বর দাবী করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। বিশ্বাসীদের ওপর চলে তাদের নির্মম সব অত্যাচার। পৃথিবীর শুভ্র নীল আকাশ আজ ধূসর, পৃথিবী আজ প্রায় সবুজ শূণ্য, সূর্যের আলো আজ বিমর্ষ।
Lyrics-K.H.SAZZADUL AREFEEN
বিষাক্ত নগরী
ওরা ধ্বংসের জুয়ারী
খেলায় নেমেছে
মুখে অক্সিজেন মুখোশ
যেদিকে তাকাই
ধূসর কালো রং
পুড়ে যায় যে বন
গুড়িয়ে সবুজ জীবন
আজ হাজার হাজার মাঠ
কাঁটা তারের জাল
ওরা গড়ে চলেছে
কালো কংক্রিটের দেয়াল
এই চারকোনা বাক্সে যুদ্ধ চলেছে
বিকার নেই কারো
জগতটাই দুলছে
ওরা জুয়ারি আসরে
খেলে যে ধোয়ারই আড়ালে
ওরা শিকারী লুকিয়ে
জীবন বৃক্ষের পাতালে
সৃষ্টির সর্বকূল নিজ সমাধিতে
মনুষ্যত্ব হারিয়ে বিভৎসতার শিখরে
ওরা গড়ে চলেছে
অমানুষের কারবালা
অর্থের নেশায় ধ্বংসের প্রাসাদ
ওদের চোখে নেই যে ভয়
মৃত্যুদূতের আসবার
রক্তের বৃষ্টি বজ্রের সৃষ্টি
অবিরাম জলস্রোত
বিষাক্ত তিক্ত ঘন কালো কুয়াশায়
দুই মেরু ঢেকে যায়
প্রাণবায়ু ফুরিয়ে
শেষ প্রাণীকূল মিশে যায়
শুণ্যতায়
Guitar solos : Rifat, Sazzad